কওমী মাদ্রাসাগুলো সাধারনত আবাসিক শিক্ষাকেন্দ্র হয়ে থাকে, যেখানে অনেকগুলো ছেলে এক সাথে বসবাস করে এবং একই স্ট্যান্ডার্ডের বই পুস্তক পড়ে/মুখস্থ করে।
উঠতি বয়সী শিশুদের স্বাভাবিক মস্তিষ্ক যেখানে সুস্থ ভাবে বেচেঁ থাকার তাগিদে নানান বিচিত্র বিনোদন চায় এবং চারপাশের সবকিছু জানার জন্যে কৌতুহলী থাকে, সেখানে কওমী মাদ্রাসার শিশুদের দিনের এবং রাতের অধিকাংশ সময়ই সুস্থ্য বিনোদনহীন থাকতে হয়, এবং একই ধরনের গ্রন্থ একচিটিয়া ভাবে মুখস্থ করার লক্ষ্যে পড়তে হয়, যেটা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে এক গ্যেয়ে, ব্যুরিং এবং অস্বস্তিকর করে তুলে।
কোনো কোনো মাদ্রাসায় মাঝে মধ্যে কিছুটা সময় তারা মাদ্রাসার নিজস্ব এরিয়াতে নিজেদের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি, খেলাধুলা, চলাফেরা এসব করার কিছুটা সুযোগ পেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের অধিকাংশ সময় একটা আবদ্ধ জোনেই কাটাতে হয়। সুস্থ বিনোদনহীন আবদ্ধ এরিয়ায় একসাথে দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে জীবন এক গেয়ে হয়ে উঠে এবং একইসাথে তাদের দৈনন্দিন জীবনে নারীর সংস্পর্শ ও সুস্থ যৌনতা না থাকায় এই সকল মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র সবেই একটা পর্যায়ে যৌনতার তাড়নায় নিজেদের মধ্যেই আকর্ষন বোধ করতে থাকে। এই আকর্ষণ বোধ থেকেই অধিকাংশ বলাৎকারের সূত্রপাত হয়।
শারীরিকভাবে কেউ সমকামী না হলেও, সমলিঙ্গের অনেকে একসাথে একই পরিবেশে দীর্ঘদিন একসাথে এক গণ্ডির মধ্যে থাকতে থাকতে নিজের মতো আরেকজন সমলিঙ্গের মানুষের প্রতি সেক্সুয়াল চিন্তাভাবনা আসে, তাদের মস্তিষ্কে এমন চিন্তাভাবনা আসাটা খুবই প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক ব্যাপার। বস্তুত ব্যক্তি হুজুরের থেকে বেশি তাদের জীবন ব্যবস্থা এবং পরিস্থিতিই অনেকাংশে এই বলাৎকার ঘটনের জন্যে দায়ী।
এদের মধ্যে যারা অসীম ধৈর্যের সাথে এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিও এড়িয়ে গিয়ে সুস্থ জীবন যাপন করতে চান, তাদের মধ্যেও অনেকে পড়েন নানান সামাজিক জটিলতায়। পুঁজিবাদী দৌরাত্ম্যের সমাজ ব্যবস্থায় হুজুরদের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার ফলে বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে আজকাল কওমী মাদ্রাসার হুজুরদের কাছে সুশীল সমাজের কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না। শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই এখনকার বাস্তবতা, ফলে হুজুরদের অনেকেই নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী নারী পাচ্ছে না বৈবাহিক ভাবে সুষ্ঠু যৌনতার জন্যে। দিনশেষে এরাও জোকছে ব্যেবিচার কিংবা এই বলাৎকারের দিকেই।
কওমী মাদ্রাসায় যারা পড়াশোনা করে বড়ো হয় এরা সাধারনত এই সেক্যুলার সোসাইটিতে কোথাও চাকরি না পেয়ে বা পেলেও ঈমান আমল রক্ষার তাগিদে করতে না পেরে অবশেষে মাদ্রাসাতেই শিক্ষকতা করেন কিংবা কোনো মসজিদে আবাসিক থেকে ইমামতি করেন। কওমী শিক্ষিতদের অধিকাংশই দুনিয়ার জাগতিক বহুমুখী জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি বিমুখী। কওমী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে বড়ো হওয়া প্রায় সব হুজুরই দুনিয়াবি উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত, এবং এই বঞ্চিত অবহেলিত নিম্নমানের শিক্ষকেরাই মূলত মাদ্রাসা শিক্ষক। যারা শিক্ষাকে ধর্মের সাথে মিশিয়ে পরকালের আদলে শিশুদের মগজ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে থাকেন। যার্ধরুন পরকালগামি এইসব মাদ্রাসায় পড়তে আসা শিশুরা তার শিক্ষক, উস্তাদ অর্থাৎ হুজুরকে প্রায় এক প্রকার খোদার সমতুল্য ভাবতে থাকে ফলে হুজুরদের যেকোনো আদেশ তারা মানতে বাধ্য থাকে। যেখানে শিক্ষকরা শিশুদেরকে সওয়াবের কাজ বলে উস্তাদের ক্ষেদমতের নামে তাদের নু;নু মর্দনের আদেশ দিলে বা সরাসরি ধ;র্ষণ বলা;ৎকারের জন্যে ডাকলেও অধিকাংশ শিশুরাই এটা মেনে নেয় এবং হুজুরদের নু;নুর খেদমত করাকে স্বাভাবিক ভাবে নেয়।
সেখানে মাত্র অল্প সংখ্যক শিশু থাকে যারা কিছুটা নিজের শরীর এবং যৌনতা সচেতন হয়, কিংবা একটু সৎ সাহসী হয় যারা কৌশলে মাথা উচু করে নিজের পরিস্থিতির কথা বাহিরে বলার সাহস রাখে। শুধুমাত্র তাদের সাথে এই কাজ করতে গিয়েই হুজুরদের একাংশের যে বিপত্তি বাঁধে তার কিছু অংশই কেবল মাজে-মধ্যে নিউজ টিবি কিংবা সোস্যাল মিডিয়ায় আসে, যার বৃহৎ অংশই চাপা পড়ে যায় নানান ভয়, ধর্ম এবং সামাজিকতায়। বস্তুত বলাৎকারের নিউজ আমরা যতটা মিডিয়ায় দেখি, তা তার থেকে আরো বহুগুণে বেশি ঘটিত হয়।
কওমী মাদ্রাসা আপনার আমার কাছে বেহেশতে যাওয়ার সিঁড়ি মনে হলেও, যে শিশুটি নির্যাতিত হচ্ছে তার কাছে এটি এক আইয়ামে জাহেলিয়াত।