শাড়ী কিংবা বোরকা দুইটাই নারীকে যথেষ্ট মানুষ হয়ে উঠতে দুই অ্যাঙ্গেল থেকে বাধাগ্রস্থ করছে। একটা চোখে পড়ছে না ধর্মান্ধতার চশমা পড়ে আছেন বলে, আরেকটা কথিত বাঙালী সংস্কৃতির রঙিন চশমার আবরণে।
ব্যক্তিগত ভাবে বলতে গেলে, আমার কাছে যেকোনো নারীকে জিন্স, টপস, শার্ট বা যেকোনো ইজি মুভিং, স্মার্ট অ্যান্ড কমফোর্ট তথা ওয়েস্টার্ন পোশাকে দেখতে বেশি সুন্দর বা আকর্ষণীয় লাগে। এবং এইসব পোশাকেই নারীর প্রতি আমার যথেষ্ট আকর্ষণ কিংবা কামভাব জাগ্রত হয়।
পোশাকের সাথে নারী পুরুষ বা জাত পাতের কোনো
সম্পর্ক থাকতে নেই, যার যেই পোশাকে তার আরাম লাগে, এবং তার কাছে ভালো বোধ হয়। তার সেই পোশাক পড়াই যথার্থ। হোক সেটা জাস্ট একটা হাফপ্যান্ট কিংবা ব্রা-প্যানটি বা যেকোনো শর্ট কিংবা লং পোশাক।
যেকোনো মানুষেরই অধিকার রয়েছে তার মনের মত তার ভালো লাগার সাথে মিলিয়ে পোশাক পড়ার।
নারীর ধর্ষিত হওয়ার কারণ:
আমাদের দেশের অধিকাংশ নারীর ধর্ষিত হওয়ার কারণ সে নারী নিজেই, পোশাক কিংবা ধর্ষক না। এখানের অধিকাংশ নারীই নিজেকে ধর্ষনের যথেষ্ট উপযুক্ত বস্তু বানিয়ে রেখেছে।
কিভাবে?
এখানের অধিকাংশ ধর্ষিত নারীর ব্যক্তিগত পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, তার নমনীয় লাজুক চিন্তাভাবনা, তার শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক এবং তার সামাজিক প্রেক্ষাপটে তার দুর্বল নারী চরিত্রের দুর্বলতার কারণেই সে ধর্ষিত হয়েছে।
টিএসসি তে বসে জিন্স প্যান্ট, শার্ট, কেস পড়ে বাম হাতে সিগারেট টানা এই মেয়েটাকে কেও ধর্ষণ করতে সাহস পায় না, কেনো?
আমি আমার জীবনেও দেখিনি বা শুনিনি যে আমার কোনো জিন্স শার্ট প্যান্ট পড়া কোনো বান্ধুবিকে কেও ধর্ষণ করছে বা করতে আসছে। কেনো দেখিনি এমন? কারণ এখানের যেকোনো পুরুষই জানে যে, এদেরকে ধর্ষণ বা অনুমতিহীনভাবে জাস্ট একটু শারীরিক স্পর্শ করলেই তার বিচি লুজ করে ছেড়ে দেওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
ফলে এখানে যেকোনো ধর্ষক কিংবা পুরুষই এক্সট্রা সাবধানতা অবলম্বন করে।
কিন্তু ঐযে দুর্বল নারীটি, তার বেলা ?
তার বেলা হুজুর, মজুর, পাদ্রী, কুদ্রি কিংবা এই হালের যেকোনো পুরুষই লাগানোর দুঃসাহস নিজেতে লালন করেন। আবেদনময়ী কোনো দুর্বল নারী দেখলে লাগাইতে চায়না, এমন পুরুষ কোথাও নেই। এমনকি আপনার বাপ ভাই কিংবা এই সাদেক মাহমুদ’ও যেকোনো দুর্বল চিত্তের নারীকে লাগানোর মনোবাসনা তার অবচেতন মনে তার অজান্তেই লালন করেন। যেটা পরিস্থিতি বুঝে জেগে উঠতেই পারে তার। তিক্ত সত্য কিংবা বাস্তবতা এটাই।
নারীর অধিকার:
এখানে এইদেশে কিসের নারীর অধিকার খুঁজেন?
যেখানের প্রায় ৯০% স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মালিকই পুরুষ। নারীর অধিকারের পূর্ব শর্ত হচ্ছে অর্থনীতিক মুক্তি এবং নিজের খেয়ে, নিজের পড়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কথা বলার সক্ষমতা।
আপনি মানেন আর না মানেন, অর্থনৈতিক আধিপত্য না থাকিলে কোনো অধিকারই আপনার পক্ষে না।