আত্মহত্যার ইচ্ছা চেপে বসতে পারে যে কারও মনে মগজে প্রচেষ্টায় বা প্রতিজ্ঞায়। আত্মহত্যার চ্যালেন্জ-উপায়-নিরুপায় হয়ে উঠতে পারে যে কারও ঠান্ডা মাথার ভাবনায়ও, প্রয়োজনও অনুভুত হতে পারে তড়পে তড়পে। অতঃপর কারো বিরুদ্ধে নিজেকে হত্যার দায়ে স্ক্রিপ্ট রাইটিং ও চলতে পারে, নিরন্তর নতুন নতুন ভাবিত কল্পিত আকারে, মনো-সৃষ্ট নিষ্ঠুর ভয়ানক রুপে।।। পরিকল্পনাহীন উপস্থিত গরম মাথার খুন গুলো পরিকল্পিত ঠান্ডা মাথার খুনের চে ভয়ানক, নিষ্ঠুর, নির্দয় হয়ে থাকে।
“অধিকারবোধ, আত্মসম্মানবোদ, প্রতিশুধ পরায়ণতা, আত্মনির্ভরশীলতাহীনতা অধিকাংশ আত্মহত্যা বা নিজেকে, অন্যকে হত্যার জন্য দায়ী হয়ে থাকে”।
আমার মতে নিজেকে বা অন্যকে যে কাউকেই যে হত্যা করলো সেই অপরাধী, খুনি। নিজেকে হত্যার জন্যে কাওকে দায়ী, দুশারুপ করে যে আত্মহত্যা করে সে অপরাধী খুব বড় আকারের অপরাধী । ” এ যেনো নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা বঙ্গ করার মতো প্রয়াস।
যতক্ষণ না আমার আমিকে কারো কাছে বেচে না দেই, ততক্ষণ আমার দেহ আমার, আমার স্বাধীনতা, আমার তন্ত্র, নিজতন্ত্র চলবে, চলছেও। আমার দেহে আমার বিচার, অধিকার, আমার স্বাধীনতা। আপনি স্বাধীন বলেই আপনি আজ আপনাকেই হত্যা করতে পেরেছেন, এখানে আপনি আপনার স্বাধীনতার অপব্যাবহার করেছেন, তবে স্বাধীনতা ভোগ করেছেন বটে,এটা সত্য। তবে কেনো অন্যের স্বাধীনতাই আপনি হস্থক্ষেপ করবেন। যে আপনাকে ছেড়ে যেতে চাই তাকে যেতে দেওয়া তার স্বাধীনতার প্রতি আপনার সোজন্য বোধ। যেমন স্বাধীনতা আমরা সবাই কামনা করি। মানুষ মাত্রই স্বাধীনতা কামি, আর এই স্বাধীনতাকামিতার জন্যেই মানুষ হতে পেরেছেন জগতের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিদীপ্ত, চিন্তাদিপ্ত সেরা প্রাণী । অন্যদিকে মানুষকে যদি অন্য কোনো প্রাণীকুল ফার্মের মুরগীর মত বা গৃহপালিত গরু ছাগলের মত বন্ধি করে, বেদে স্বাধীনতাহীন ভাবে রাখতো তাহলে মানুষ আদো কখনো জগতের সর্ব শ্রেষ্ঠ হতে পারত না হয়ত। তাই মানুষের ব্যাক্তি স্বাধীনতা, অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হউন। বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড়ান।
কথাই আছে না – “বেল পাকলে কাকের কি?”। তেমনি “”আপনি কাক হলে বেল আপনার জন্যে না, আর আপনি বেল হলে কাকের প্রিয় হবার আখাঙ্খা ও আপনার না। “”
তাই যাকে যেভাবে যেখানে যেমন অবস্থায় মানাই তাকে সেখানে সেভাবেই রাখুন বা যেতে, থাকতে দেওয়া উচিত ও প্রতিটা পারষ্পরিক ধন্দের, ইস্যুর মীমাংসায় যাওয়া জরুরী সবার ক্ষেত্রে, সবখানে, সবসময়ে।
একজন ব্যাক্তি আত্মহত্যার মাধ্যমে শুধু নিজেকেই হত্যা করে না, বরং তার চারপাশের অবস্থান কেও ভাবিয়ে তুলে দুশ্চিন্তাই, দুর্ভাবনায়, ক্ষতিগ্রস্থতাই । তাই বলা যায়, যে আত্মহত্যা করলো, সে যাকে দায়ী করে গেলো তার চেয়ে শত গুনে সে বড় দায়ী, অপরাধী, দুশী, খুনি। একবার কি ভেবে দেখেছেন বা দেখি আমরা কখনো হ্যা, কত বড় খুনি, বা অসুস্থ মাথা হলে একজন মানুষ সে নিজেকেই খুন করতে পারে।