লৌকোকথাই কান দিতে নেই

sadekmahmud

July 2, 2019

রাস্তায় পরে থাকা একটি বাশ একজন লেবার বা শ্রমিকের কাছে শুধুই বাশ, আর একজন আর্কিটেকচার বা বিল্ডিং ডেভলপার এর কাছে এটি একটি কোটি টাকার বিল্ডিং এর খুঁটি। চানাচুর, বাদাম বা ঝালমুড়ি বিক্রেতার কাছে একটা নিউটন বা আইনস্টাইনের লেখা বিজ্ঞানের বইএর পাতা শুধুই ঠুঙ্গা, আর একজন বিজ্ঞানের স্টুডেন্ট এর কাছে এটা একটা মুল্যবান বই এর পাতা ।
দুইটা ব্যাপারই স্বাভাবিক, তবে ডিফরেন্ট ব্যাপার হলো কে কোনটা কিভাবে দেখে। আসলে যে যা যতটুকু জানে তার বিচার বা চিন্তা করার ক্ষমতা ততটুকুই। আপনার মধ্যে প্রতিভা থাকা সত্বেও যদি কিছু মানুষ আপনাকে মূল্যায়ণ না করে, এতে হতাশার কি আছে। যে যেটা জানে না, সে সেটার প্রয়োজনীয়তা বা মূল্যবোধ কিভাবে টের পাবে। যেমন অন্ধেরা তার সামনে দিয়ে হাতি গেলেও দেখে না। এটাও স্বাভাবিক। কেও যদি আপনার সাথে একসাথে বসে সময় কাটিয়ে ও আপনাকে চিনতে পারলো না বরং উল্টো চিন্তা করে আপনাকে আরো ভূল বুজলো এটা তারই ব্যার্থতা। এতে আপনার মনখুন্য হাওয়ার কিছুই নেই।
লেখাটা এখনও পরিষ্কার না হলে আরো কিছু এক্সাম্পল দেই,
ধরুন আপনি এমন এক এলাকাই গেলেন, যেখানে কোনো শিক্ষা ব্যাবস্থা নেই, কেও প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত ও পড়াশুনা করেনি। সেখানে গিয়ে যদি লোকজনদের কে আপনি বলেন যে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে, পৃথিবী সমান্তরাল না বরং গোলকার বা ডিম্বাকার । তাহলে ঐ এলাকার লোকজন তাদের মেধা অনুযায়ী আপনাকে কি বলবে ? নিশ্চই পাগল ছাড়া কিছুই বলবে না।
আবার যদি এমনটা করেন যে হিন্দুদের কুরআন বা বাইবেল আর মুসলিমদের গীতা আর খ্রিস্টানদের  ত্রিপিটক পড়তে বা মানতে বলেন তাহলে কেমন হবে ? কেও কি আপনার কথা মানবে ? অবশ্যই না।
একইভাবে যদি আপনি বলেন মানুষের ধর্ম শুধুই মনুষ্যত্ব, উপরিউক্ত সবই জ্ঞানর্জনের বই। তবুও লোকেরা আপনাকে ভূল বুঝবে।
তাহলে বুঝা গেলো যারা যতটুকু জানে, তারা ততটুকুই ভাবতে পারে, বিচার করতে পারে।

তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত লোককথা ভুলে সঠিক পথ অবলম্বন করা, সত্যের সন্ধানে যাওয়া ও নিজের ক্রিয়েটিভিটি কে সম্রপ্রসারণ করা। মানুষ যাই মনে করুক, করতে থাকুক, এতে আমাদের কি আসে যায়।
আমাদের জীবন খুবই ছোট, তাই কে আমাদের মূল্যায়ণ করলো বা না করলো, তার হিসাব কষে আমাদের সময় নষ্ট করার কোনো মানে নেই।

“Life is too short to waste your time on people who don’t respect, appreciate, and value you.”

Leave a Comment