আমাদের চারপাশের খুচরা লোকজন

sadekmahmud

August 3, 2020

আমাদের জীবনের অনেকাংশ সময়ই কেটে যায় প্ল্যান পরিকল্পনা করতে করতে, আমরা যত বড় বড় স্বপ্ন দেখি তার ৪ ভাগের ১ ভাগও সেই স্বপ্নের জন্যে কাজ করি না। অনেক সময় আমরা অনেক কাজ শুরু করতে চেয়েও শুরু করি না, এই শুরু না করার পিছনে একটা বড়ো কারণ হলো, উক্ত কাজটিতে ব্যার্থ হলে চারিপাশের সমালোচকরা কি ভাববে। আর তারা কি ভাববে এটাই আমরা ভাবতে ভাবতে আমাদের প্ল্যান পরিকল্পনাটা বড় করতে থাকি, কাজটা আর শুরু করি না। আসলে চারপাশের সমালোচকরা কি ভাববে এটা তাদের ভাবনা, তাদের ভাবনা আমরা কেনো ভেবে ভেবে সময় নষ্ট করবো। আমাদের উচিত নিজেদের কাজ নিজেদের মত করেই করা। চারপাশে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আমরা যখনই কোনো ভালো কাজ করতে যাই, তখন একগাদা মানুষ আমাদের নিরুৎসাহিত করে, যেমন একটা কাজ শুরুর সময় অন্তত শতবার আমাদের শুনতে হয় যে, এটা তুমি পারবে না, ওটা তুমি পারো না, তুমার দ্বারা হবে না, তুমার দ্বারা সম্ভব না, এটা খুব কঠিন কাজ, এটা, ওটা অসম্ভব, এভাবে হয়না ইত্যাদি। ফলে যে ইচ্ছা উদ্দীপনা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করতে চায় তার ৭০% ইচ্ছাই শেষ হয়ে যাই। আসলে এই কথাবলা লোকজন গুলি বেসিক্যালি ধর্মান্ধ,পরনিন্দুক ও হিংসুটে প্রকৃতির স্বভাবের মানুষ। এরা একটি পুরুনো ফরমেটে নিজের জীবন পার করে দেয়, এদের কোনো ক্রিয়েটিভিটি নাই,  এরা ব্যাক্তি জিবনে নিজেরা ত কিছু করেই না আবার অন্যেরা কোনো ভালো কাজ করলেও তাতে নানা ভয় ভীতি দেখিয়ে বাঁধা সৃষ্টি করে, আমরা জানি যে প্রত্যেকটা কাজেই অন্তত একটা না একটা বাঁধা থাকেই, আর আমাদের এই বাধাবিপত্তি গুলি এড়িয়েই আমাদের লক্ষে এগিয়ে যেতে হয়। কেও যখন আমাদের কে বলে যে তুমি এটা পারবে না ওটা পারবেনা, তখন খুব সম্ভবত সে তখন তার ব্যাক্তিগত অপারগতা কেই উপস্থাপন করে, সে নিজে কাজটি পারবে না বলেই সে বিশ্বাস করে যে হয়ত আপনিও কাজটি পারবেন না । আর আমরা যদি এ ধরনের মানুষিক ধ্বজভঙ্গ লোকদের কথাই কান দেই, তাহলে ত আমরাও তাদের মতই হলাম। তাই জীবনে কিছু করতে চাইলে এইসব লোকদের উপেক্ষা করে চলাই শ্রেও, হউক তারা বাপদাদা, ভাই – ব্রাদার, আত্মীয় – স্বজন, গার্লফ্রেন্ড বা অন্য কোনো কেও।

বি:দ্র: আমার এই লেখা সবার জন্য প্রযোজ্য নই।

Leave a Comment