জীবনের সাথে ভাগ্যের সম্পৃক্ততা

sadekmahmud

April 5, 2019

জীবনের সাথে ভাগ্যের সম্পৃক্ততা থাকতেই পারে, কিন্তু এর নিয়ন্তা বলে কেউ নেই। কারো ভাগ্য কোনো সত্তা প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রণ করতেছে না। মানুষ ইচ্ছে করলেই তার নিজের ভাগ্যের/পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পারেন। নিজের জীবনে খারাপ কিছু ঘটলে এর নিমিত্তে অন্যায়ভাবে কোনো সত্তাকে দোষারোপ করার কোন কারণ নেই। মানব জাতির চিরাচরিত অভ্যাস হলো , মানুষ যখন ভাল সময় উপভোগ করে তখন বলে, এই সময়টা আমার অনিদ্র চিন্তাভাবনা, শ্রম, ঘাম, মেধার ফলন। এর উল্টোটা হলে বা যখন খারাপ সময় অতিবাহিত করে তখন বলে যে, আমার কপালে ঈশ্বর ভালো কিছু লেখেনাই, তাই আমার দ্বারা ভালো কিছু হবে না, বা উমুকে, তুমুকে আমার জীবন বরবাদ করে দিছে, তার জন্যে আমার এই অবস্থা !” – মা বাবা ভাই বোন বন্ধু স্বজন,  এমনকি বৌ স্বামী থেকে নিত্যভক্তির নিরাকার ঈশ্বর-  কারও মুক্তি নেই! যে কাউকে যে কোন সময় ব্যক্তির নিজের ভাগ্যের জন্য দোষ লেপন করে দেয় । অবশ্য, সবচেয়ে বেশি আক্রমনের শিকার নিরাকার ঈশ্বর! অর্থাৎ, আকার নেই বলেই সুলভ হচ্ছে কল্পনার বা জনশ্রুতির অথবা কেতাবী কিংবা বিশ্বাসের ঈশ্বরকে, ব্যক্তি তার নিজের ভাগ্যের জন্য  দোষারোপ করার। ভাগ্যের বিদাতা থাকতেই পারে । ধরুন আপনি এবং আমি বা আমরাই এর স্বয়ং বিদাতা ।
আমার আপনার চিন্তা চাওয়া ইচ্ছে কর্ম মেধা মন আপনাকে আমাকে যে প্রাত্যহিক এবং বর্তমান ভবিষ্যৎ তৈরী করে দিচ্ছে, তখন নিজেরা নিজের বড়াই করছি।
আর উল্টো হলে?
মা বাবা বৌ স্বামী বস মেম্বার চেয়ারম্যান নেতা এমপি মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী থেকে ভাবিত ঈশ্বর কারও মুক্তি নেই।
ভাগ্যটা আপনি আমি গড়ছি নিত্য নিয়মিত, তাই ভাগ্যের নিয়ন্তা আমি, আপনিই । অবশ্য, অন্যদের ভাগ্যের প্রত্যাবর্তন বা পরিবর্তনে আপনি আমি কমবেশি দায়ী থাকতে পারি।

Leave a Comment