যত্রতত্র ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণ না করে উন্মুক্ত লাইব্রেরি স্থাপন করলে যেমন হত

sadekmahmud

February 19, 2018

আমার শৈশব কৈশোর কেটেছে গ্রামে। গ্রামের অসংখ্য কুসংস্কার দেখে দেখে আমার বড় হওয়া।

এদেশের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায় যেখানে একটি মসজিদই যথেষ্ট ছিল, সেখানে প্রতিযোগিতা করে একাধিক  মসজিদ নির্মিত হয়েছে।

যেমন – 

সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায় যে, কোনো মসজিদের স্থান দাতার সাথে আরেক জন প্রভাবশালী লোকের ধন্দ থাকার কারনে সে ওই মসজিদে নামাজ না  পরে সে নিজেই আরেকটা মসজিদ তৈরি করে, দেখা যাই এইরকম যে এক মসজিদের ঈমাম এর কিছু দুশ থাকার কারনে কিছু মুসুল্লী সিদ্ধান্ত নেই যে তারা আর এই মসজিদে নামায পড়বে না, এবং তারাও নিজেরা মিলে আরেকটা মসজিদ তৈরি করে। আবার দেখবেন যে মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির সাথে মিল না  থাকাই, একদল লোকেরা নতুন মসজিদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।

আবার এটাও দেখা যায় যে মুসলিম দের মধ্যে বিভিন্ন বিভাজন থাকাই (কেও শিয়া,কেও সুন্নি, কেউ কাদিয়ানী, কেউ ওয়াহাবী, কেউ মাজহাবী ইত্যাদি) তে বিভিন্ন মতবাদ থাকাই এক এলাকাই একাধিক মসজিদ গড়ে উঠে। যার ফলশ্রুতিতে মসজিদ বেশি মুসুল্লী কম দেখা যায়। যেখানে মসজিদের এক লাইনই মুসুল্লী দিয়ে ভরে না, অথচো আরো দুই থেকে তিন লাইনই থাকে খালি পরে ।

এটা কে একধরনের রাষ্ট্রীয় অপচয়ও বলা চলে।

অন্যদিকে পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মীয় উপাসনালয়ের পাশাপাশি  বা বহু উপাসনালয় নির্মাণ এর পরিবর্তে যদি একটি  করে উন্মুক্ত  পাবলিক লাইব্রেরী  স্থাপন করা হতো, যেখানে সকল প্রকার বই থাকবে  এবং একজন বক্তা বা শিক্ষক রাখা হতো যিনি সব ধরনের বই মানুষকে পরে শুনাবে এবং যারা যারা সেখানে রেগুলার বই পড়তে আসবে তাদের কে ফ্রী তে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো। 

তাহলে হয়তো  পৃথিবীর এই বে-রুপ টা ই থাকত না, মানুষের মধ্যে সভ্যতা দেখা যেতো।

থাকতো না আর ধর্মের নামে কোনো রাজনীতি, যুদ্ধ-বিদ্রোহ, মারামারি -কাটাকাটি, সহিংসতা আর দুর্নীতি ।

Leave a Comment