একজন মুসলিম হিসেবে যা জানা থাকা প্রয়োজন!
আমার আশপাশে চারপাশে অ্যাকাডেমিক ডিগ্রিধারী উচ্চশিক্ষিত অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই বোন স্বজনপরিজন আছেন। যারা তাদের প্রেমিক-প্রেমিকা, বাবা-মা ভাই-বোন এমনকি নিজের জীবনের থেকেও হজরত মুহাম্মদ (সা:) কে বেশি ভালোবাসেন, আমিও ভালবাসি। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হচ্ছে আমাদের অনেকেই যাকে এত বেশি ভালোবাসে, তার জীবন ও পরিবার পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানেন না।
হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর একজন উম্ম্যত হিসেবে তার জীবনী সম্পর্কে কিছু ব্যাসিক তথ্য জানা থাকা
একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আপনার জন্যে জরুরী :
১ম পর্ব –
জন্ম, মৃত্যু, পিতা, মাতা, স্ত্রী, দাসী, পুত্র ও পরিবার:
নাম: মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ( অফিসিয়াল নাম )।
পিতা: আবদুল্লাহ ।
মাতা: আমেনা ।
জন্ম ২৯ আগস্ট ৫৭০,
মক্কা, হেজাজ, আরব উপদ্বীপ, সৌদি আরব।
মৃত্যু
৮ জুন ৬৩২ (বয়স ৬২),
১২ রবিউল আউয়াল, ১১ হিজরি
ইয়াসরিব (মদিনা), হেজাজ, আরব উপদ্বীপ, সৌদি আরব।
মৃত্যুর কারণ – অসুস্থতা, প্রচন্ড জ্বর । ( কোনো কোনো হাদিসে এক ইহুদী নারী কর্তৃক চক্রান্তের মাধ্যমে বিষপান করানোর কথাও জানা যায়, যদিও এটা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে)
সমাধি :
মসজিদে নববির, সবুজ গম্বুজের নিচের সমাধিক্ষেত্র
স্থান: মদিনা, সৌদি আরব ।
স্ত্রী ও দাসী:
১. খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ •
বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ৪০ আর নবী মুহাম্মদ (সা:) এর ২৫।
নবী মুহাম্মদ (সা:) এর সাথে বিয়ের আগে খাদীজার আরো দুইজনের সাথে বিয়ে হয়েছিলো বলে জানা যায়।
খাদিজার সাথে নবীর বিবাহিত জীবনঃ ৫৯৫-৬১৯ পর্যন্ত।
২. সাওদা বিনতে যামআ(৬১৯-৬৩২) বিধবা •
হিজরতের পূর্বেই আনুমানিক ৬২০ খ্রিস্টাব্দে বিবাহ হয়,
নবী মারা যাওয়ার সময় সাওদার বয়স ছিল ৪৬ বছর।
বিয়ের সময় বয়স ৩৩, নবীর ৪৯।
৩. আয়েশা বিনতে আবু বকর (৬১৯-৬৩২)•
মোহাম্মদ (সা:) এর অন্তরঙ্গ বন্ধু সহযোদ্ধা চাচাতো ভাই আবু বকরের মেয়ে।
বিয়ের সময় আয়েশার বয়স ছিল ৬, নবীর ৫১।
৯ বছর বয়সে আয়শার সাথে বাসর হয়, নবীর মৃত্যুকালে আয়েশার বয়স ছিল ১৮ বছর। নবীর মৃত্যুর পর আয়েশা দ্বিতীয় আর কোনো বিয়ে করেছেন বলে জানা যায়নি।
৪. হাফসা বিনতে ওমর (৬২৪-৬৩২)•
ইসলামের ২য় খলিফা ওমরের মেয়ে।
৫. জয়নব বিনতে খুযায়মা (৬২৫-৬২৭)•
হিজরতের একত্রিশ মাস পরে ৩য় হিজরীর রমজান মাসে বিবাহ করেন
৬. জয়নব বিনতে জাহশ (৬২৭-৬৩২)•
মক্কার সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশের বিখ্যাত বনি হাশেম গোত্রের জাহাশ পরিবারের মেয়ে, ফুফাতো বোন এবং পরে নবীর পালিত পূত্র জায়েদের স্ত্রী হয়, জায়েদের সাথে সংসার ভাঙ্গার পর নবী তাকে বিয়ে করেন।
৭. জুওয়াইরিয়া বিনতে আল-হারিস (৬২৮-৬৩২)•
৮. রামালাহ বিনতু আবী-সুফিয়ান (৬২৮-৬৩২)•
৯. উম্মু সালামা হিন্দ বিনতে আবী উমাইয়্যা (৬২৯-৬৩২)•
১০. রায়হানা বিনতে জায়েদ (৬২৯-৬৩১)•
বিধবা, বানু কুরাইজা গোত্রের লোকদেরকে যুদ্ধে পরাজিত করার পর তাকে গণিমতের মাল হিসাবে পান। (মোহাম্মদ (স:) তাকে বিয়ে করেছিলেন কি না তা নিয়ে মতভেদ আছে।)
১১. সাফিয়া বিনতে হুওয়াই (৬২৯-৬৩২)•
বিধবা ইহুদী রমনী, খায়বার দখলের পর সব পুরুষকে হ/*ত্যা করে তাদের সর্দারের স্ত্রীকে ভাগে পান মোহাম্মদ (সা:)। এবং যেদিন মোহাম্মদ (সা:) ও তার সাহাবীরা সাফিয়ার স্বামী সহ সকল আত্মীয় স্বজনকে পরাজিত করেন সেদিন রাতেই, তিনি সাফিয়ার সাথে বিয়ে করেন এবং, রাত্রি যাপন করেন।
১২. মাইমুনা বিনতু আল-হারিস (৬৩০-৬৩২)•
১৩. উম্মে হাবিবা • বিধবা
দাসী:
মারিয়া আল-কিবতিয়া (৬৩০-৬৩২)
• মিশরের বাদশার কাছ থেকে দাসী হিসাবে গিফ্ট পান এবং বিয়ে ছাড়াই মারিয়ার গর্ভে মুহাম্মদ (সা:) পুত্র ইব্রাহিমের জন্ম হয়।
সন্তান:
কাসিম, আবদুল্লাহ, ইবরাহিম, জয়নব, রুকাইয়াহ, উম্মে কুলসুম ও ফাতিমা।
আত্মীয় স্বজন :
হাসান (নাতি), হুসাইন (নাতি), মুহসিন (নাতি), জয়নব (নাতলি), উম্মে কুলসুম (নাতনি), আবদুল মুত্তালিব (দাদা), আলী (জামাতা), উসমান (জামাতা)।
আবু বকর, উমর, আবু সুফিয়ান, হুয়াই ইবনে আখতাব (শ্বশুর)
আব্বাস , হামজা , আবু তালিব, আবু লাহাব।( চাচা)
মুয়াবিয়া (শ্যালক)।
_
তথ্য সূত্র : হাদিস এবং উইকিপিডিয়া।